আশুগঞ্জ উপজেলা তারুয়া শালুক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভোট গ্রহণ সাড়ে আটটায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইভিএম মেশিনের টাইম সেটিংয়ের কারণে ভোট শুরু হয় মূল টাইমের ১২ মিনিট পর। তাছাড়া কেন্দ্রে সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিত ছিলেন মাত্র পাঁচজন। কেন্দ্রটির ছয়টি কক্ষের তিনটিতে নেই এজেন্ট। এর মধ্যে কেন্দ্রটির ১ ও ২নং কক্ষে ছিলো শুধু গোলাপ ফুল মার্কা জহিরুল ইসলামের এজেন্ট ও লাঙ্গল মার্কা আব্দুল হামিদ ভাসানীর এজেন্ট। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সাত্তারের এক নারী এজেন্ট আসেন।

এ কেন্দ্রের প্রথম ভোটদাতা হাবি্বুর রহমান হাসিমুখে জানান, ইভিএমে প্রথম ভোট দিলাম, খুব সহজ, ভালো লাগছে।

অন্যদিকে একই উপজেলার আড়াইসিধা কাদির ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। এই বিদ্যালয়ের পুরো কেন্দ্রটিতে রয়েছে ১২টি কক্ষ। সবগুলোই নারীদের জন্য।

প্রিজাইডিং অফিসার জহিরুল ইসলাম সমকালকে জানান, ৪৫ মিনিটে পাঁচটি ভোট গ্রহণ হয়েছে।

আড়াইসিধা গ্রামের বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সী রাশিয়া বেগম ভোট দিতে আসেন আড়াইসিধা কাদির ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। কোনো রকম সমস্যা হয়নি বলে জানান তিনি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক ডাক্তারের কাছে জেনেছেন আজ ভোট হবে। তাই সকাল সকালই চলে আসেন ভোট দিতে।

আড়াইসিধা গ্রামের সাফিয়া বেগম বাজার করতে এসে জেনেছেন ভোট হচ্ছে। তাই বজার করে আড়াইসিধার এই কেন্দ্রে চলে আসেন ভোট দিতে। কিন্তু সঙ্গে কোনো প্রমাণপত্র না আনায় বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন নিজের পরিচয়পত্র আনতে।

তেমনি রওশনারা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘুরে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আশিক কায়সার জানান, কেন্দ্রটিতে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৩১৮৩ জন। তবে ভোট শুরুর এক ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন মাত্র ২৫ জন। শীতের সকাল হওয়ায় ভোটারদের আনাগুনা কম বলে মনে করছেন তিনি। বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার সংখ্যা বাড়ার আশা করছেন তিনি।

সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে আশুগঞ্জের শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে ২৮০০ ভোটারের ৪০ ভোট পড়েছে। ভোটারদের কোনো দীর্ঘ লাইন না দেখা গেলেও এক-দুইজন করে ভোটাররা এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সৈয়দ রাফি উদ্দিন।

তিনি জানান এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২৪২৮ জন এবং ভোট কক্ষ রয়েছে পাঁচটি।

এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, আশুগঞ্জ উপজেলায় আটটি ইউনিয়নে পুরো উপজেলায় আশুগঞ্জে ১ লাখ ৩২ হাজার ভোটার রয়েছে। শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।