নতুন অটোরিকশাই কাল হলো নবাবগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের শিকার রাকিবের। আজ বুধবার বিকেলে এভাবে বলছিলেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ। তিনি জানান, অটোচালক রাকিব হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। তিনি উপজেলার যন্ত্রাইল গ্রামের মৃত মালেক ফকিরের ছেলে।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাঁধন সরকার (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার বক্সনগর ইউনিয়নের ছোট বক্সনগর এলাকার চৌরাহাটি গ্রামের আনন্দ সরকারের ছেলে।

ওসি বলেন, নিহত রাকিব এবং বাঁধন ও তাঁর অপর সহযোগী পূর্বপরিচিতি। তাঁরাও অটোচালক ও ছিনতাইকারী। তাঁদের টার্গেট ছিল রাকিবের নতুন অটো ছিনতাইয়ের। ঘটনার দিন গত ২৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে বাগমারা বাজারে ডেকে নেন বাঁধন। সেখান থেকে চক বালুরচর এলাকার একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওসি আরও জানান, রাকিবকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অচেতন করা হয়। পরে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে লাশ কচুরিপনার নিচে রেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার বাঁধন হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে লাশ ও অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত অপর সহযোগীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

গত ২৫ জানুয়ারি থেকে অটোরিকশাচালক রাকিব নিখোঁজ ছিলেন। পরে গত মঙ্গলবার বিকেলে চক বালুরচর এলাকার একটি পুকুরে কচুরিপনা পরিস্কারের সময় শ্রমিকরা লাশ দেখতে পান। পুলিশকে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে।

রাকিবের মামা ফরহাদ কবির বলেন, রাকিব গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়া থেকে নিখোঁজ ছিল। গত শুক্রবার নিখোঁজের ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় জিডি করা হয়। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে রাকিবকে শনাক্ত করেছেন।