সিলেটে পুলিশ হেফাজতে রায়হান আহমদের (৩৪) মৃত্যুর মামলায় বেশ কয়েকজন সাক্ষীকে জেরার আবেদন করেছেন দুই আসামির আইনজীবী। বুধবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন দুটি করেন মামলার প্রধান আসামি সাময়িক বরখাস্ত এসআই আকবর এবং আরেক আসামি কনস্টেবল হারুন অর রশিদের আইনজীবীরা।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল ফজল চৌধুরী জানান, আসামি হারুনের পক্ষে ১৩-৪০ নম্বর পর্যন্ত এবং আকবরের পক্ষে আরও কয়েকজন সাক্ষীকে জেরা করতে আবেদন করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিরা এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে ওই সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাদের জেরা করতে পারেননি আইনজীবীরা।

বিচারক আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এ মামলায় ৬৯ সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ১১ অক্টোবর শেষরাতে সিলেট নগরীর কাস্টগড় এলাকা থেকে আটকের পর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নেওয়া হয় রায়হানকে। সেখানে সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগ এনে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্বি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।

আলোচিত এ ঘটনায় ২০২১ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। এতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, এসআই হাসান উদ্দিন ও কোম্পানীগঞ্জের সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমানকে আসামি করা হয়। ঘটনার পরই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পলাতক নোমান ছাড়া বাকি আসামিরা বর্তমানে কারাগারে। গত বছরের ১৮ এপ্রিল এ মামলার বিচার শুরু হয়।