বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি 'শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য' দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বহাল রয়েছে।

বিচারপতি মো. বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। এর ফলে অধ্যাপক রহমত উল্লাহর একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাতে আর কোনো বাধা রইল না। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও সৈয়দা নাসরিন।

অধ্যাপক রহমত উল্লাহ ঢাবিতে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নীল দলের প্যানেল থেকে তিনি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। 

২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাবির টিএসসি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় অধ্যাপক রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাকের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান। এর পরপরই তিনি খন্দকার মোশতাকের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। সভাপতির বক্তৃতায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষক সমিতির সভাপতির বক্তব্যের বিতর্কিত অংশ এক্সপাঞ্জ করেন। এরপর সংবাদ সম্মেলন করেও অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চান অধ্যাপক রহমত উল্লাহ। তবে ২০ এপ্রিল একই ঘটনায় তাকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে তার করা এক রিটের শুনানি নিয়ে ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট।