বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হবেন- এমন আশা ছিল আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের। কিন্তু ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। অন্যদিকে বগুড়া-৬ আসনে জামানত হারাতে যাচ্ছেন। অপ্রত্যাশিত হারে অনেকটা ভেঙে পড়েছেন হিরো আলম। তবে মনের জোর হারাননি। অভিযোগ করছেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁর বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের পরদিন আজ বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি থেকে বের হননি। ভক্ত-সমর্থকরা বাড়িতে এসে দেখা করছেন। নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন হিরো আলম।

সমকাল: আপনার বিজয় হবে এটা আগে থেকে কীভাবে নিশ্চিত ছিলেন?

হিরো আলম: ভোট চাইতে গেলে ভোটারদের সাড়া ও আমার প্রতি তাঁদের ভালোবাসা দেখে বুঝেছিলাম আমাকে তাঁরা বিজয়ী করবেন। ভোটের জন্য গণসংযোগের সময় কেউ আমাকে বিমুখ করেননি। ভোটাররা আমাকে আপ্যায়ন করেছেন, খাইয়েছেন। এতে আমি নিশ্চিত ছিলাম বগুড়া-৪ আসনে আমার বিজয় হবে।

সমকাল: তাহলে কী কারণে জয়ী হতে পারলেন না?

হিরো আলম: আমাকে পরিকল্পিতভাবে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১০টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন নির্বাচন কর্তৃপক্ষরা। আমি অশিক্ষিত আমি বিজয়ী হলে নাকি তাদের মানসম্মানের হানি হবে। আমি নির্বাচিত হলে চোর-বাটপারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতাম এটা তাঁরা বুঝেই আমাকে জাতীয় সংসদে যেতে দেয়নি।

সমকাল: আপনার কাছে কী প্রমাণ আছে ভোট কারচুপির?

হিরো আলম: অনেক প্রমাণ আছে, তা আদালতে দাখিল করবো। আরও তথ্য সংগ্রহ করছি। এমন লজ্জাজনক কর্মকাণ্ড দেশবাসীর সামনে তুলে ধরবো। মানুষ আমার জন্য আফসোস করছে। আশা করছি- আদালতে ন্যায়বিচার পাবো।

সমকাল: কবে আদালতে যাবেন? 

হিরো আলম: আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে যাবো। যেভাবে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি, তেমনি আশা করছি- ভোটের ফলাফলও আমার পক্ষে যাবে।

সমকাল: কী চাইবেন আদালতের কাছে?

হিরো আলম: পুনরায় ভোট গণনা চাইবো। আর যেসব কেন্দ্রের ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে, ওই কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের বিচার চাইবো।

সমকাল: বগুড়া-৬ আসন সম্পর্কে আপনার কী মতামত?

হিরো আলম: বগুড়া-৬ আসনেও ভোট কারচুপি হয়েছে, কিন্তু আমি আদালতে যাবো শুধু বগুড়া-৪ আসনের ভোটের কারচুপির বিচারের জন্য।