- সারাদেশ
- ইজতেমার মাঠ ব্যবহারে ন্যায্যতা চান সাদ অনুসারীরা
ইজতেমার মাঠ ব্যবহারে ন্যায্যতা চান সাদ অনুসারীরা

গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ও কাকরাইল মসজিদ ব্যবহারে ন্যায্যতা নিশ্চিতের দাবি করেছেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন তাঁরা।
মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারী তাবলিগ জামাতের মুরুব্বিরা এ সময় ইজতেমার ময়দান নিয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তোলেন। তাঁরা বলেন, মাওলানা জোবায়েরের নেতৃত্বে বিদ্রোহ করে বিশ্ব তাবলিগ মারকাজ দিল্লির নিজামউদ্দিনের অনুসারীদের মূল ধারা থেকে তাঁরা বেরিয়ে গেছেন। ফলে কাকরাইল মসজিদ ও ইজতেমা ময়দানে তাঁদের বৈধতা নেই। তাবলিগের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তাঁরা বারবার অশান্ত করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন।তাঁরা বলেন, উভয়পক্ষকে একই মাঠে ইজতেমা করতে দেওয়া হলেও জোবায়ের গ্রুপকে প্যান্ডেল নির্মাণ ও খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অথচ মূলধারার জামাতকে কোনো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ২০১৮ সালে সাদপন্থি মূলধারার অনুসারীরা সরল বিশ্বাসে প্রশাসনের কাছে ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর করেছিলেন। এখন জোবায়েরপন্থিদের ব্যবহারের জন্য ইজতেমা ময়দান, ইজতেমা মাদ্রাসা, ইজতেমা মসজিদ ও গুদাম দেওয়া হয়েছে; যা রহস্যজনক।
তাঁদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রশাসনের তদারকিতে দু'পক্ষকে প্যান্ডেল তৈরি ও খোলার দায়িত্ব অর্পণ, কাকরাইল মসজিদ ও ইজতেমা ময়দান থেকে মাদ্রাসা অপসারণ, তাবলিগের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরপেক্ষ কমিটি গঠন, কাকরাইল মসজিদ দিল্লির নিজামউদ্দিনের অধীনে পরিচালিত করা, দেশের সব মসজিদে তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালিত করা, বিশ্ব ইজতেমায় সব মুরুব্বির আগমন নিশ্চিত করা ও তৃতীয় পক্ষের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস বাদল। উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ সায়েম, অ্যাডভোকেট ইউনুস মিয়া, মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ, ভাই সোহেল ও আতাউল্লাহ।
মন্তব্য করুন