- সারাদেশ
- আ'লীগ নেতা হত্যা: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামিসহ দু'জন গ্রেপ্তার
আ'লীগ নেতা হত্যা: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামিসহ দু'জন গ্রেপ্তার

ছলিমাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন অলি মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে আওয়ামী লীগ নেতা অলি মেম্বারকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগী নৈমুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওসি নূরে আলম।
অভিযোগ রয়েছে, ছলিমাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক অলি মিয়া ওরফে অলি মেম্বারকে হত্যা করে সিলেটে এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করে ইকবাল ও নৈমুদ্দিন। বিষয়টি জানতে পেরে গত মঙ্গলবার কোম্পানীগঞ্জ থানার টুকেরবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি ও বাঞ্ছারামপুর থানা-পুলিশের একটি দল। গ্রেপ্তার দু'জন গত বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
দুই আসামির জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি নূরে আলম জানান, ইকবাল হোসেন ও তার লোকজনের সঙ্গে অলি মেম্বারের লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধ। এর জেরে গত ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নৈমুদ্দিনকে বাড়ির সামনে পেয়ে ধাওয়া করেন অলি মেম্বার। তখন নৈমুদ্দিন ফোন দিয়ে সবুজ, ইকবাল, সজল, মিস্টারসহ ১০-১২ জনকে আসতে বলে। টেঁটা, রামদা, দেশি অস্ত্র নিয়ে এসে অলি মেম্বারকে ঘিরে ফেলে তারা। এক পর্যায়ে তাকে টেঁটাবিদ্ধ করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
জানা গেছে, অলি মেম্বারকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন তাঁর মেয়ে। এ মামলায় ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার দিন অভিযান চালিয়ে আসামি ইকবালের স্ত্রী শিল্পী বেগম, মেয়ে স্বর্ণালী আক্তার, তাতুয়াকান্দি গ্রামের ফুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম বলেন, হত্যা মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন