- সারাদেশ
- যশোরের ৪ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ নেতাকে ক্ষমা করলেন শেখ হাসিনা
যশোরের ৪ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ নেতাকে ক্ষমা করলেন শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ফাইল ছবি
যশোরে ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে অংশ নিয়ে বহিষ্কার হওয়া ৪ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকে ক্ষমা করলেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তাদের ক্ষমা করা হয়েছে
শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে আসা আওয়ামী লীগের দলীয় প্যাডে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
ক্ষমা পাওয়া নেতারা হলেন, যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির তুহিন, দেয়াড়া ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আনিচুর রহমান, চাঁচড়া ইউপির চেয়ারম্যান শামীম রেজা, রামনগর ইউপির চেয়ারম্যান ও জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান লাইফ, চুড়ামনকাটি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন। এর আগে বিদ্রোহী এই ৬ নেতা ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছিলেন।
২০২২ সালের পঞ্চম ধাপের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে যশোর সদরে ১৫টি ইউপিতে নৌকার প্রার্থীদের নিজ দলেরই ৩৯ বিদ্রোহী প্রার্থীর মুখোমুখি হয়েছিলেন। অন্যদিকে ১১ ইউনিয়নে মাঠে নেমেছিলেন বিএনপির ১৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী ও ইন্ধনদাতা ২৫ আওয়ামী লীগনেতা বহিষ্কার হন। ক্ষমা প্রার্থী হিসাবে আবেদন করার পরিপেক্ষিতে এই ৪ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ আওয়ামী লীগ নেতাকে ক্ষমা করা হয়েছে। বাকি ১৯ আওয়ামী লীগ নেতা এখনও ক্ষমার জন্য আবেদন করেনি বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে শুক্রবার রাতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যারা নেত্রীর কাছে ক্ষমার আবেদন করেছেন সেই ৬ নেতাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী। তবে বিদ্রোহীদের ইন্ধনদাতাদের ক্ষমা করবেন না বলে দলীয় সূত্রে জেনেছি।’ আপাতত এই ৬ নেতা ক্ষমা পেলেও দলের স্বপদে স্থান পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ ও ২০২২ সালের অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৯৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯২টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আর ১টি মনিরামপুরের হরিহরনগর ইউপিতে এখনও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ৫টি ধাপে শেষ হওয়া ওই নির্বাচনে জেলার ৮ উপজেলায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন আড়াই শতাধিক আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে ১০৭ জন আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকে বহিষ্কার করে জেলা আওয়ামী লীগ। সদরে ২৮ জন, অভয়নগরে ১ জন, মনিরামপুরে ১৭ জন, বাঘারপাড়া ১৪ জন, শার্শা ১৫ জন, চৌগাছা ১৩ জন, ঝিকরগাছা ৯ জন ও কেশবপুর ১০ জনকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার হওয়া প্রার্থীরা বেশিরভাগই স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অনুসারী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন