বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় এক ছটাক ধান কিনতে পারেনি মুক্তাগাছা খাদ্য অফিস। চাল সংগ্রহেও ভাটা পড়েছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারদর বেশি থাকায় গুদামে চাল দিচ্ছেন না মিলাররা। তবে মিলের লাইসেন্স টিকাতে বাধ্য হয়ে কেউ কেউ কম দামে চাল দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয় মুক্তাগাছায়। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৬৫ টন। ধান সংগ্রহে লটারির মাধ্যমে চাষিও নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বাজারে দাম বেশি থাকায় গুদামে ধান দেননি তাঁরা। এ কারণে এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য অফিস।
মাঝেরবন্ধ এলাকার কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, বাজারে ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে। আর সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে ১ হাজার ১২০ টাকা। এ কারণেই গুদামে ধান দেওয়া হয়নি তাঁর। এ ছাড়া ধান দিতে গেলে অনেক নিয়মকানুন মানতে হয়। এটা একজন কৃষকের জন্য ঝামেলা।

বাজারে চালের দাম বেশি থাকায় সরকারি গুদামে চাল দিতেও চাচ্ছেন না মিলাররা। মুক্তাগাছা উপজেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৯৬৪ টন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ১১০টি মিলের (চালকল) সঙ্গে চুক্তি করে খাদ্য অফিস। চাল সংগ্রহের সর্বশেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয় এ মাসের ২৮ তারিখ। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। এখনও অনেক মিলার এক ছটাক চাল দেননি গুদামে। এ কারণে বাকি নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা দেখছে না খাদ্য অফিস।

খাদ্য অফিসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মুক্তাগাছা শহরের নতুন বাজার এলাকার চালকল মালিক আতাউর রহমান। তাঁর চাল দেওয়ার কথা ১৬ টন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক ছটাক চালও দেননি তিনি।

চালকল মালিক রাজা মিয়া বলেন, বাজারে চালের দাম অনেক বেশি। এ কারণে এখনও চাল দেননি তিনি। তবে লাইসেন্স টিকাতে শেষমেশ চাল দেবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা রুবী জানান, বাজারে দাম বেশি হওয়ার পরও চাল সংগ্রহ চলছে। তবে এবার চালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি।