- সারাদেশ
- বালিয়াডাঙ্গীতে ৫ মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর
বালিয়াডাঙ্গীতে ৫ মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর

প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় প্রশাসন। ছবি: সমকাল
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এক রাতে পাঁচটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মন্দির পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গীর পাড়িয়া ইউনিয়নের জাউনিয়া কলেজপাড়া গ্রামে একটি, চাড়োল সাবাজপুর পশ্চিমনাথপাড়া মোড়ে একটি ও ধনতলা ইউনিয়নে সিন্দুরপিন্ডি গ্রামের তিনটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।
ধনতলা ইউনিয়নের পূজা উদ্যাপন কমিটির কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সিন্দুরপিন্ডি মন্দির কমিটির সভাপতি জোর্তিময় সিংহ বলেন, প্রায় অর্ধশত বছর ধরে এ মন্দিরে পূজা করে আসছি। কোনো দিন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। গত শনিবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। এতে এই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি।
চাড়োল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চ্যাটার্জী বলেন, ‘কে বা কারা রাতের আঁধারে পাঁচটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। সকালে মন্দির কমিটির লোকজন খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি প্রশাসনকে জানাই।’
খবর পেয়ে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহাবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল, বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ পুজা উদ্যাপন পরিষদ, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অরুণাংশু দত্ত টিটো বলেন, ‘এক রাতে এতোগুলো মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ও নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলাটে করতে পরিকল্পিতভাবে এ ধরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চান, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দেশের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দ্রুতই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে আতঙ্কিত না হয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
মন্তব্য করুন