- সারাদেশ
- মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার না পেয়ে বাবার 'আত্মহত্যা', দুই থানায় দুই মামলা
মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার না পেয়ে বাবার 'আত্মহত্যা', দুই থানায় দুই মামলা

পঞ্চগড়ে কলেজছাত্রীকে শ্নীলতাহানির বিচার না পেয়ে বাবার আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে পঞ্চগড় সদর থানায় ধর্ষণ মামলা এবং আটোয়ারী থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলাটি করেন কলেজছাত্রীর ভাই। দুই মামলাতেই পলাশ চন্দ্র বর্মনকে (২৫) প্রধান অভিযুক্ত করে চার জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশের এফআইআরে উপজেলা সদরের মাগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায়কে অভিযুক্ত করা হলেও কোন মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়নি।
দুই মামলার চার আসামি হলেন- ওই ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমটি এলাকার পলাশ চন্দ্র বর্মন (২৫), তাঁর বাবা শ্যামল চন্দ্র বর্মন (৪৬), একই এলাকার ভবেন বর্মন (৫০) ও কাজল বর্মন (২৩)।
এদিকে পুলিশি এফআইআরে ইউপি চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করার প্রতিবোদ জানিয়ে আজ রোববার বিকেলে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জ্যোতিষ চন্দ্র রায়। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়্যারম্যান জ্যোতিশ চন্দ্র রায় বলেন, ২৪ জানুয়ারি আমাকে দেওয়া অভিযোগে ধর্ষণের কোন কথা ছিল না। হাত ধরে টানাটানির মাধ্যমে শতীলতাহানীর অভিযোগ করা হয়। ধর্ষণের কথা বলা হলে আমি থানায় খবর দিতাম। এছাড়া ঘটনার পর থেকেই আমি তাদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। এজন্য দুই মামলায় আমাকে আসামি করা হয়নি। তবে পুলিশ কোন তদন্ত না করেই এফআইআরে আমাকে জড়িয়েছে।
জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি পলাশ চন্দ্র বর্মন ওই কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে শ্নীলতাহানীর চেষ্টা করেন। এই ঘটনা বিচার দাবি করে গত ২৪ জানুয়ারি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। গত বুধবার শালিশ বৈঠক ডাকেন চেয়ারম্যান। তবে প্রধান অভিযুক্ত পলাশ উপস্থিত না হওয়ায় শেষমেষ কোন পÿই বৈঠকে আসেনি। এদিকে ঘটনার ১৫ দিন পরও কোন বিচার না পেয়ে আত্মসন্মান রক্ষায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ছাত্রীর বাবা। গত বুধবার রাতে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আটোয়ারী থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, এজাহারে আসামির তালিকায় ইউপি চেয়ারম্যান নাম না থাকলেও এজাহারের গর্ভাংশে তার নাম রয়েছে। এজন্য এফআইআর এ ইউপি চেয়ারম্যানকে আসামি হিসেবে অন্ত্মর্ভূক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এসএম সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি মামলায় প্রথমে অভিযোগ আকারে এজাহার দাখিল করা হয়। এজাহারের বিস্তারিত দেখে এবং তদন্ত করে পুলিশ অভিযুক্তের তালিকা করে। দীর্ঘ তদন্তে নির্দোষ প্রমানিত হলে অনেকের নাম বাদও দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন