বরিশালের গৌরনদীতে পাওনাদারের চাপ ও প্রকাশ্যে মারধরে লজ্জা-অপমানে জসীম ঘরামী (৩২) নামে এক থ্রি-হুইলার চালক বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সকালে মারা যান তিনি।

জসীম ঘরামী গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের ইছাহাক ঘরামীর ছেলে। তিনি পরিবারের আয়-রোজগারের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন।

জসীমের ভগ্নিপতি স্বপন হাওলাদার জানান, পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা সাবের হাওলাদারের স্ত্রী ও সুদের কারবারি সাজেদা বেগমের কাছ থেকে ৩ মাস আগে ৪০ হাজার টাকা ধার নেন জসীম। কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করছিলেন। সাজেদা জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে জসীমের কাছে ৬০ হাজার টাকা সুদ দাবি করে তা পরিশোধের জন্য চাপ দেন এবং গত ২৫ জানুয়ারি জসীমকে প্রকাশ্যে অপমান-অপদস্ত এবং মারধর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী জসীমের বন্ধু ও থ্রি-হুইলার চালক সাগর বলেন, ওইদিন উপজেলার বার্থী বাসস্ট্যান্ডে সাজেদা বেগমের ভাই সুরত খানের ছেলে শাহ আলম জসীমের পথরোধ করে। প্রকাশ্যে আলম জসীমের জামার কলার ধরে তাঁকে টানতে টানতে একটি দোকানের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে শাহ আলম তাকে চড়-থাপ্পড় দেওয়াসহ মারধর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। সেখান থেকে বাড়ি গিয়েই জসীম কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিক শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তির দু'দিনের মাথায় তাঁকে বাড়িতে নেওয়া হয়। পরে জসীম আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে একই হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।

তবে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে সুদের কারবারি সাজেদা বেগম সমকালকে বলেন, সুদে নয়, মাহিন্দ্র কিনতে ৭ বছর আগে ৬০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল জসীম। তাকে মারধর বা নির্যাতন করা হয়নি।

এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।