কুড়িগ্রামের রৌমারীতে রেখা খাতুন (২২) নামের এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে হত্যার প্রধান আসামি হযরত আলীকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পূর্ব ইজলামারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হযরত আলীর কাছ থেকে নিহত ওই তরুণীর ব্যবহৃত সিমসহ একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার হযরত আলী রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব ইজলামারী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। অন্যদিকে নিহত রেখা খাতুন উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি কান্দাপাড়ার আবুল হাশেমের মেয়ে। 

র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান বলেন, প্রতিবন্ধী রেখা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হলে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ওই তরুণীর ব্যবহৃত সিমসহ একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন হয়রত আলী। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি)) আসামিকে রৌমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানার ওসি রুপ কুমার সরকার। 

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে মায়ের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চেয়ে নেন রেখা খাতুন। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঘমারা নামক এলাকার একটি গম খেত থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে ওই দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।