নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ঋণগ্রস্ত যুবক সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রী পপি আক্তারকে (২৪) খুনের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের সরাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে বুধবার সকালে সাদ্দামের বসতঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দুই বছর আগে আটপাড়া উপজেলার পুখলগ‎াঁও গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের সরাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল কাদিরের মেয়ে পপি আক্তারের বিয়ে হয়। পপির মা পারভিন আক্তারের অভিযোগ, তাঁর মেয়ে পপিকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে সাদ্দাম। তাঁর মেয়ের ঠিকমতো ভরণপোষণ করত না জামাতা। প্রায় দিনই ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য টাকা এনে দিতে চাপ দিত। সাদ্দামের অনেক ঋণ ছিল বলে তাঁকে জানিয়েছিল পপি। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় পরিকল্পিতভাবে তাঁর মেয়েকে খুন করে পালিয়ে গেছে সাদ্দাম।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন পিপিএম বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ আটপাড়া উপজেলার পুখলগাঁও গ্রামের বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় পপির গলায় আঙুলের ছাপের কালো দাগ দেখা গেছে। তার স্বামী সাদ্দাম পলাতক।