নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে র‌্যাবের অভিযানে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহনের আড়ালে মাদকদ্রব্য পাচারকালে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ৩৯ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। এছাড়া মাদক বিরোধী অভিযানে ২০ কেজি গাঁজাসহ আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‌্যাবের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটে চেকপোস্ট বসিয়ে রোগী পরিবহনের আড়ালে অ্যাম্বুলেন্সে লুকিয়ে ৩৯ কেজি গাঁজা পাচারের সময় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে র‌্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করার কথা স্বীকার করে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- অ্যাম্বুলেন্সচালক মো. সাইদুল ইসলাম (৩২)। তিনি কুমিল্লার হোমনা থানার গানিয়াচর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। মুন্না হোসেন ওরফে সহিদ একই জেলার লাকসাম থানার পশ্চিমগাও এলাকার আলী হোসেনের ছেলে।

ওই দিন বিকেলে র‌্যাব-১১ বিশনন্দী ফেরিঘাটের ফল মার্কেট এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় ২০ কেজি ৫শ’ গ্রাম গাঁজাসহ ৪ জনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ছৈবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে মো. শাকিল (৩৮), একই উপজেলার উলচাপাড়া গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী খাদিজা বেগম ওরফে জান্নাত (৩০), কসবা থানার ফারুক মিয়ার স্ত্রী বাসনা আক্তার (৩২), আখাউড়া থানার কলেজপাড়া এলাকার কামাল মিয়ার স্ত্রী ফুলবানু বেগম (৪০)। 

র‌্যাবের সহকারী পরিচালক এএসপি মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু জানান, আটক ব্যক্তিরা নারায়ণগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকায় গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য কেনাবেচা ও সরবরাহ করতেন। 

আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার জানান, র‌্যাবের পৃথক অভিযানে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।