নিখোঁজের সাত দিন পর সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে জেসমিন আক্তার পিঙ্কি (১৮) নামের এক কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে শার্শা উপজেলার বুরুজবাগান এলাকার একটি সেফটি ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে পিঙ্কির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে সহপাঠী আহসান কবির অংকুরকে আটক করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৬) কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান। 

নিহত ছাত্রী সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কাউরিয়া কেরালকেতা গ্রামের জাকির হোসেনের (৪৫) মেয়ে। তিনি যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাদ আল-নাহিয়ান বলেন, শুক্রবার দুপুরে জানতে পারি যশোর থেকে নিখোঁজ জেসমিন আক্তার পিঙ্কির মরদেহ শার্শার বুরুজবাগান এলাকায় তার সহপাঠী আহসান কবির অঙ্কুরের বাসায় রয়েছে। তখন অঙ্কুরের বাসায় তল্লাসি চালানো হয়। কিন্তু চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে সেফটি ট্যাঙ্কে খোঁজ করা হয়। সেখানে নিখোঁজ মেয়েটির লাশ খুঁজে পায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, প্রেমের সম্পর্ক ধরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে শরীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করতে সেফটি ট্যাঙ্কের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়।

র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনায় আহসান কবির অঙ্কুর নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেয়ে হত্যার প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।