দলীয় সভার মধ্যে খুলনার দাকোপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খানকে মারধর করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে সুতারখালী ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। পরে অন্য নেতারা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে থামান।

এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন মুনসুর খান। মুনসুর খান দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেখ আবুল হোসেনকে পরাজিত করেন তিনি। নির্বাচনে আবুল হোসেন ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। অন্যদিকে মুনসুর আলী ছিলেন বিদ্রোহী।

সভায় উপস্থিত নেতাদের কয়েকজন জানান, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। এটি সফল করতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দলের সভা ডাকা হয়। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হোসেন প্রধান অতিথি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর খান বিশেষ অতিথি ছিলেন।

সভায় মুনসুর খান বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আবুল হোসেন। এক পর্যায়ে তিনি মুনসুর খানের দিকে তেড়ে যান এবং চড়-থাপ্পড় ও ঘুসি মারেন। সঙ্গে সঙ্গে অন্য নেতারা এসে আবুল হোসেনকে থামান।

থানায় দেওয়া অভিযোগে মুনসুর খান উল্লেখ করেন, আমার বক্তব্যে বাধা দেওয়া হয়। বিশৃঙ্খলা না করতে বলায় আবুল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগাল শুরু করেন। তিনি আমার মুখে সজোরে ঘুসি মারতে উদ্যত হন। এ সময় আশপাশের লোকজন ও মঞ্চে থাকা নেতাকর্মীরা আমাকে রক্ষা করেন।

সভায় উপস্থিত দাকোপ উপজেলার বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান সমকালকে বলেন, আশপাশের নেতারা ঠেকানোর আগেই মুনসুর খানকে চড় ও ঘুসি মারেন আবুল হোসেন। তবে আবুল হোসেন প্রভাবশালী হওয়ায় নাম প্রকাশ করতে চাননি কেউ।

মুনসুর আলী বলেন, সম্মানিত ব্যক্তিকে মারতে উদ্যত হলে সেটা তো মারাই হয়ে গেল। দলের নেতাদের জানিয়েছি। অভিযুক্ত আবুল হোসেন বলেন, মুনসুর খান সভায় অসংলগ্ন বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় তাঁকে নিষেধ করা হয়েছে। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। দাকোপ থানার ওসি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।