মেহেরপুরে পৃথক অভিযানে বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে গাংনী উপজেলার বামন্দী ও মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৯টি ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধার করা হয়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বামন্দী মাদ্রাসা এলাকায় সরকার বিরোধী বৈঠক চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ইসরাফিল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালায়। এসময় বামন্দী নিশিপুর গ্রামের শাওন, মহিবুল ইসলাম পলাশ, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহ আলম, আশরাফুল ইসলাম, গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কামরুজ্জামান, বেতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হক, কড়ইগাছী গ্রামের মনিরুজ্জামান ও সাহারবাটি গ্রামের আমানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই বিএনপির নেতাকর্মী। 

এ ঘটনায় বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ইসরাফিল বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি রাসেল জানান, গৌরিনগর গ্রামের সড়কের পাশে নাশকতার চেষ্টাকালে বিদ্যাধরপুর গ্রামের আব্দুল খালেক, জয়পুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, শিবপুর গ্রামের শহিদুল হাসান রাহুল ও মোনাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আজিম উদ্দিন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মুজিবনগর থানার এসআই সেকেন্দার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।

জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করে বলেন, বিএনপির কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে ককটেল বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের অসত্য তথ্য প্রচার করছে। 

হয়রানি করে বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বলেও জানান তিনি।