- সারাদেশ
- কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ
কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ

রাঙামাটির কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদের পানির অভাবে চারটি বন্ধ রয়েছে। একটি ইউনিট থেকে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এদিকে, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় গ্রীষ্ম মৌসুম শুরুর আগেই ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাঙামাটিবাসী।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে হ্রদের পানির স্তর কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। সাধারণত মার্চ অথবা এপ্রিল মাসের দিকে হ্রদের পানির স্তর কমে গেলেও বর্ষায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আবার হ্রদের পানির স্তর স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। কিন্তু বর্ষা মৌসুম আসতে না আসতে পানির স্তর আস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে হ্রদে পানি কমে যাওয়ায় জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে বরকল, বাঘাইছড়ি, জুড়াছড়ি, লংগদু ও বিলাইছড়ি উপজেলার সঙ্গে নৌ চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। এসব উপজেলায় যাত্রীবাহী লঞ্চ উপজেলা ঘাটে পৌঁছাতে পারছে না। ফলে এসব নৌরুটে যাত্রীদের যাতায়াতের দুর্ভোগের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সঠিক সময়ে পরিবহন করতে পারছে না।
এদিকে, গ্রীষ্ম মৌসুম শুরু না হতে রাঙামাটি শহরে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাঙামাটিবাসী। প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়বার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে শহরবাসীকে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসানের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। দিনে ও রাতে সমানতালে হচ্ছে এ লোডশেডিং।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটি বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানান, বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। বর্তমানে রাঙামাটি শহরে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও মাত্র ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, পানি বৃদ্ধি না পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো পরিবর্তন হবে না।
মন্তব্য করুন