গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। প্রকাশ্যে বিদেশি পিস্তল হাতে নিয়ে হামলায় নেতৃত্ব দেন হলুদ টি-শার্ট পরা এক যুবক। তাঁর নাম জাহিদ। বিএনপি নেতাকর্মীর ভিড়ের মধ্যে ডান হাতে থাকা পিস্তলটি প্রকাশ্যে উঁচিয়ে ধরেন তিনি। তাঁর হাতে পিস্তল দেখে স্থানীয় লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। অস্ত্রধারী যুবক ছাত্রদলের নেতা বলে জানা গেছে। তবে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আকতারুল আলম বলেন, পদপদবি তো দূরের কথা, সে বিএনপির কোনো অঙ্গ-সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নেই। সে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে উঠবস করে।

শনিবার সকালে বরমী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও বিএনপির পদযাত্রা শেষ হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং হামলা ও ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে। হামলা সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ১৪ জন নেতাকর্মী আহত হন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, পূর্ব নির্ধারিত শান্তি সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য বরমী ইউনিয়ন কার্যালয়ে জড়ো হচ্ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এর আগেই বিএনপির ২০০ থেকে ৩০০ জন নেতাকর্মী পদযাত্রা শুরু করেন। সকাল ১০টার দিকে বিএনপির কর্মীরা দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে দু'দিকে মোড় নেন। অস্ত্রধারী জাহিদের নেতৃত্বে একদল আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালায়। পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে।
শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক জাহিরুল ইসলাম সরকার বলেন, ছাত্রলীগের ৪ জন কর্মীকে ধরে বিএনপির লোকজন বেদম পিটিয়েছে। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী সজীব আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আরিফুল ইসলাম তারিকুল, শরীফ আহমেদ ও তারেক হাসান নূরী আহত হন।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা এস এম ফয়সাল আবেদীন বলেন, পাগলা থানার নিগুয়ারি এলাকার সাইফুর রহমানের ছেলে অস্ত্রধারী জাহিদুল ইসলাম ছাত্রদল নেতা। ভাওয়াল বদলে আলম সরকারি কলেজে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত। জাহিদের বিরুদ্ধে অন্তত অর্ধডজন মামলা রয়েছে বলে শোনা যায়।
বরমী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আফাজ উদ্দিন প্রধান বলেন, অস্ত্রধারী ওই যুবককে তিনি চেনেন না। পদযাত্রার সময় পেছন দিক থেকে এসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে ফরহাদ ফকির, এমদাদ, নাহিদ হাসান, রফিকুল ইসলাম, নাঈম আহমেদ, ইশাদ আহমেদসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ খন্দকার বলেন, বিএনপির লোকজন হামলা করেছে। শ্রীপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। অস্ত্রধারী জাহিদকে খুঁজছে পুলিশ।