- সারাদেশ
- আইনজীবীর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী
আইনজীবীর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী

প্রতীকী ছবি
গোপালগঞ্জে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ওই আইনজীবীর বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে শহরের পাঁচুড়িয়া এলাকার সামচুল হক রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিন গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোরাদ হোসেন বাদী হয়ে আইনজীবী আলমগীর হোসেনের (৪৫) বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে এজাহার করেছেন।
ঘটনার পর থেকে আলমগীর পলাতক। শনিবার তাঁর মোবাইল ফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তিন-চার মাস আগে পাঁচুড়িয়া এলাকায় শিশুদের প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে আলমগীরের সঙ্গে পরিচয় এবং মোবাইল ফোনে কথা হয়।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে আলমগীর মোবাইল ফোনে ছাত্রীকে শিশুদের পড়ানোর কথা বলে বাসায় আসতে বলেন। এ সময় বাসায় পরিবারের অন্য কোনো সদস্য ছিল না। আলাপ-আলোচনার এক পর্যায়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন আলমগীর। ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিষয়টি ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিতভাবে জানান। তখন রেজিস্ট্রার প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্য ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনজীবীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের সিদ্ধান্ত নেন।
অভিযুক্ত আইনজীবী আলমগীর হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছিলেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করতে ওই ছাত্রী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসায় হামলা করে ভাঙচুর চালিয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে ওই ছাত্রী ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের নামে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি জাবেদ মাসুদ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আলমগীর হোসেন গোপালগঞ্জ জেলা জজকোর্টের একজন আইনজীবী। এ ছাড়া তিনি গোপালগঞ্জ শহরতলির ঘোনাপাড়ার একটি রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারের পরিচালক বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন