নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় অসঙ্গতিপূর্ণ ও বিপক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় স্ত্রী রওশন আরা আক্তার তুলিকে ‘বৈরী’ ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

আজ রোববার ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে সাক্ষী দিতে আসেন তুলি। সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি জানান, ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। এমনকি, তিনি সোহেল চৌধুরীর স্ত্রী নন বলেও দাবি করেন।

নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার পর তার স্ত্রী উল্লেখ করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন তুলি। তাকে চার্জশিটে সাক্ষীও করা হয়। আজ আদালতে অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্যে দেওয়ায় তাকে বৈরী ঘোষণা করেন ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাদিয়া আফরিন শিল্পী। এরপর তাকে জেরা করা হয়।

জেরায় উঠে আসে, সোহেল চৌধুরীর বাসা ভাড়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন দেন তুলি। সোহেল চৌধুরীর মায়ের সঙ্গে তার কথা হয়। পরে সোহেল চৌধুরীর মোবাইল নম্বর পান তিনি।

এদিকে মামলার নথি থেকে জানা গেছে, সোহেল চৌধুরী খুনের পর পুলিশের কাছে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছিলেন তুলি। সেখানে তার স্বামী হিসেবে সোহেল চৌধুরীর নাম লেখা হয়। তবে এদিন সাক্ষ্য দিতে এসে তুলি বলেন, তিনি সোহেল চৌধুরীর স্ত্রী নন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তাকে জেরায় বলা হয়, স্ত্রী দাবি করে সম্পত্তির ভাগ নিতে চেয়েছিলেন? জবাবে তিনি না-সূচক বক্তব্য দেন।

এদিন ট্রাম্পস ক্লাবের ম্যানেজার মেজর (অব.) এনামুল হাফিজ খান ওরফে এনায়েত হোসেন সাক্ষ্যে জানান, সোহেল চৌধুরী ও আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে ক্লাবের নিচতলায় তর্কাতর্কি হয়। তিনি এসে তা থামান। তিনি সোহেল চৌধুরীকে চলে যেতে বলেন। পরে সোহেল চলে যান। তবে আশিষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে কিনা, তা তিনি জানেন না। এরপর আদালত আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন। এ নিয়ে মামলাটিতে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।