দেশব্যাপী আলোচিত খুলনার রহিমা বেগমকে কথিত অপহরণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আজ সোমবার আদালতে জমা দেওয়া হবে। মহানগর হাকিম আদালতে দুপুরে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবদুল মান্নান জানান, প্রধান কার্যালয় থেকে প্রতিবেদন জমার অনুমোদন মিলেছে।

পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, তদন্তে রহিমা বেগমকে অপহরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, বরং জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণের নাটক সাজানোর প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে রহিমা বেগম এবং তাঁর দুই মেয়ে মরিয়ম মান্নান ও মামলার বাদী আদুরি আক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ এবং অপহরণের মামলায় জেল খাটা পাঁচ আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

রহিমা বেগম এবং তাঁর দুই মেয়ে এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এ ঘটনায় জেল খাটা হেলাল শরীফ, গোলাম কিবরিয়া ও তাঁর ভাই মো. মহিউদ্দিন জানান, মিথ্যা মামলায় তাঁদের জেল খাটতে হয়েছে। যাঁরা এ নাটক সাজিয়েছিল, তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।

গত বছরের ২৭ আগস্ট খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমের কথিত নিখোঁজের পর তাঁর মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, পোস্টারিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মাকে ফিরে পেতে মরিয়ম মান্নানের আহাজারি ভাইরাল হয়।

এক পর্যায়ে মরিয়ম ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা পুলিশ তাঁর মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। কিন্তু ২৪ সেপ্টেম্বর খুলনার দৌলতপুর থানা পুলিশ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থাকা রহিমাকে উদ্ধার করে।