দীর্ঘ দেড়মাস পর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতের অচলাবস্থার অবসান হচ্ছে । মঙ্গলবার থেকে আইনজীবীরা আদালতের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবার সাড়ে ১১ টায় জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় তলায় অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় আইনজীবীরা আদালতে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো.তানবীর ভুঞা।

এর আগে গত রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে আইনজীবী নেতাদের সাথে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাথে বৈঠক হয়।  

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান চৌধুরী কাননের পরিচালনায় বিশেষ সাধারণ সভার শুরুতেই আইনমন্ত্রী সাথে বৈঠকের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তানবীর ভুঞা ।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি অ্যাডভোকেট ফকরুদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদকঅ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল,  সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিকুর ইসলাম রুমা,অ্যাডভোকেট আবদুল বাছির,অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন,অ্যাডভোকেট ইফতেখার রাজা রাসেল প্রমুখ।

বিশেষ সাধারণ সভায় মঙ্গলবার থেকে আইনজীবীরা আদালতের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত নেন। তবে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত বর্জন করবেন আইনজীবীরা। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগারের আদালতের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।

এদিকে, আলোচিত বিচারক মোহাম্মদ ফারুক সোমবার ছুটিতে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, নতুন মামলা রুজু নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করতে থাকেন । পরবর্তীতে জেলা ও দায়রা জজ ও নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর অপসারণ এবং  নাজির মোমিনুল ইসলামের বিচারের দাবিতে গত ৪ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা দফায় দফায় আদালত বর্জন করেন । পরে আইনমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দুটি আদালত ছাড়া অন্য সব আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিতে থাকেন । এদিকে বেঁধে দেওয়া সময়ে আইনজীবীদের দাবি পূরণ না হওয়ায় গত  ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বাত্মক আদালত বর্জন কর্মসূচি নেন আইনজীবীরা । এতে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী চরম দুর্ভোগের শিকার হন। পরে গত রোববার আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে স্থানীয় এমপি  র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে সাথে নিয়ে আইনজীবীদের সাথে বৈঠক করে আদালতের দেড় মাসের অচলাবস্থার অবসান করেন।