
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে শিশুদের সঙ্গে সুহৃদরা
শুক্রবার বিকেল। এই বিকেলে অবসাদ কাটানোর একটা খোরাক আমাদের আছে। একটা স্কুল- এসো পড়তে শিখি। মনে হতে পারে স্কুলে আবার অবসাদ কাটে কীভাবে। তবে এ দ্বিধা শিশুদের সঙ্গে একটা বিকেল কাটানোর পর কেটে যাবে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ সুহৃদ সমাবেশের সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালিত এই স্কুল অসচ্ছল ছোট শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের আশ্রয়স্থল। পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের নানা প্রয়োজন মেটাতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। প্রতি শুক্রবার বিকেলে শিশুদের মিলনমেলায় পরিণত হয় ক্যাম্পাসের সবুজঘেরা উন্মুক্ত স্থানটি। পুরো সপ্তাহের ব্যস্ত সময়ের অবসাদ কীভাবে কাটে- গত ১০ ফেব্রুয়ারি সেখানে গিয়েছিলাম। যখন শিশুরা খেলছে মনের আনন্দে তখনও সবাই আসেনি। একটা শিশু হঠাৎ এসে জড়িয়ে ধরল আমাকে। আগের সপ্তাহে কেন আসিনি তার একটা কৈফিয়ত দিতে হলো ওকে। এটা মন ভালো হওয়ার কারণ হতেই পারে।
পড়ানোর মাঝে তাদের কত অভিযোগ। না, এটা লিখব না এটা লিখব। ম্যাডাম, 'আমি এটা ভালো পারি, এটা বলি'- কত ফাঁকির চেষ্টা। এত কিছুর মধ্যে ক'জন শিশু এলেও, পড়ার ইচ্ছাটা আসলে সুন্দর আর শেখাতে পারাটা আনন্দের।
এরপর ছুটির জন্য তাদের জোরাজুরি। আমাদের এটা লিখলেই ছুটি- বলে আরেকটু শেখানোর চেষ্টা। ছুটি শেষে লাইনে দাঁড়ানো, তাদের ফাঁকি আর পড়ালেখার মধ্যে আমাদের এক অদ্ভুত সুন্দর শুক্রবার বিকেল কাটে।
সুহৃদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
পড়ানোর মাঝে তাদের কত অভিযোগ। না, এটা লিখব না এটা লিখব। ম্যাডাম, 'আমি এটা ভালো পারি, এটা বলি'- কত ফাঁকির চেষ্টা। এত কিছুর মধ্যে ক'জন শিশু এলেও, পড়ার ইচ্ছাটা আসলে সুন্দর আর শেখাতে পারাটা আনন্দের।
এরপর ছুটির জন্য তাদের জোরাজুরি। আমাদের এটা লিখলেই ছুটি- বলে আরেকটু শেখানোর চেষ্টা। ছুটি শেষে লাইনে দাঁড়ানো, তাদের ফাঁকি আর পড়ালেখার মধ্যে আমাদের এক অদ্ভুত সুন্দর শুক্রবার বিকেল কাটে।
সুহৃদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
মন্তব্য করুন