- সারাদেশ
- বিসিক শিল্পনগরীতে কলা চাষ
বিসিক শিল্পনগরীতে কলা চাষ

বিসিক শিল্প নগরীতে কারখানা না হওয়ায় কলা চাষ করছেন এলাকাবাসী সমকাল
মুক্তাগাছায় জমি অধিগ্রহণের ৩২ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি বিসিক শিল্পনগরী। দীর্ঘ সময় পরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় এলাকাবাসী এখন কলা চাষ করছে শিল্পনগরীর নির্ধারিত খালি জায়গায়। বিসিক গড়ে তোলার সব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন, এ বছরই কাজ শুরু করা হবে।
ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে মুক্তাগাছা শহর-সংলগ্ন এলাকা সাতাশিয়ায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৯১ সালে সাতাশিয়া এলাকায় ৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তৎকালীন সময় ১৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকায় জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরে এ জমিতে মাটি ভরাট করা হয় প্রায় ২৭ লাখ টাকায়।
সরেজমিন দেখা যায়, জমি অধিগ্রহণ ও মাটি ভরাটের বিশাল এ মাঠ এখন গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। বাঁশের বেড়া দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে কলাবাগান ও বিভিন্ন ফসলের আবাদ। চারপাশে জমি দখল হওয়ায় ক্রমেই এর জায়গা ছোট হয়ে আসছে। সম্প্রতি এর চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সব ধরনের সুযোগসুবিধা রয়েছে বিসিক শিল্পনগরীর এলাকায়। এর সঙ্গে ঢাকাসহ উত্তর বঙ্গের সব ধরনের যোগাযোগের ব্যবস্থাও রয়েছে। মুক্তাগাছা বন্যামুক্ত অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকা। শিল্পনগরী গড়ের তোলার অনূকূল পরিবেশও রয়েছে এটিকে ঘিরে। এত কিছুর পরও জমি অধিগ্রহণের দীর্ঘ সময় পার হয়েছে। কোনো সরকারই এটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়নি। এতে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন পিছিয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা বিসিকের সব ধরনের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিসিক এলাকার বাসিন্দা তাজুল ইসলামের ভাষ্য, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছেন এখানে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প নগরী গড়ে তোলার জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বৃদ্ধ বয়সেও দেখছেন জায়গাটি খালি পড়ে আছে। তাঁর শেষ জীবনে এখানে শিল্পনগরী গড়ে উঠবে কিনা এ নিয়েও তিনি শঙ্কিত।
শিল্পনগরী বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম সিরাজুল হক বলেন, এখানে শিল্পনগরী তোলা হলে এ এলাকার ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। সহজেই তাঁরা এখান থেকে সারাদেশে মালামাল পাঠাতে পারবেন।
ময়মনসিংহের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উপমহাব্যবস্থাপক আব্দুস ছালাম বলেন, বর্তমান সরকার সীমানা প্রাচীরের মাধ্যমে এর কাজ শুরু করেছেন। এ বছরই এটির বাস্তবায়নে কাজ শুরু করা হবে। এজন্য প্রায় এক কোটি টাকার একটি বাজেট চাওয়া হয়েছে। টাকা পেলেই এর কাজ শুরু
করা হবে।
মন্তব্য করুন