যশোরের মনিরামপুরে পুলিশের দায়ের করা নাশকতার মামলায় থানা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুছাসহ ৩১ নেতাকর্মী উচ্চ আদালত( হাই কোর্ট) থেকে জামিন পেয়েছেন।

বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বেঞ্চ শুনানি শেষে তাদেরকে ছয় সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন এ জামিন দেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমরান খান রনি।

জামিনপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন মনিরামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই, থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক পৌর কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট মকবুল ইসলাম, সদর ইউপির চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক, আসাদুজ্জামান মিন্টু, যুবদল নেতা আসলাম হোসেন, রোহিতার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ঢাকুরিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিএম মিজানুর রহমান, মাষ্টার মতিয়ার রহমান, মাষ্টার জালাল উদ্দিন, থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ওলিয়ার রহমান, ভোজগাতী ইউপি বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার দফাদার, কাশিমনগর ইউপি বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন, খানপুর ইউপি বিএনপির আহ্বায়ক মাষ্টার আবদুস সালাম, দূর্বাডাঙ্গা ইউপি বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন, সুলতান আহাম্মেদ, নজরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, বাবলুর রহমান বাবলু, নজরুল ইসলাম, মোস্তফা হোসেন, ফারুক হোসেন, আবদুল গফ্ফার, গোলাম হোসেন, খালিদ হোসেন, জাকারিয়া হোসেন, আবু তাহের, আলতাফ হোসেন।

উল্লেখ্য বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর আস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ঘোষিত ১১ ফ্রেবুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মনিরামপুর পৌর ও থানা বিএনপির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পুলিশ সেখান থেকে ৬ নেতাকর্মীকে আটক করে। পরে এসআই সুমন হোসেন বাদী হয়ে ৪১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। এছাড়াও একই অভিযোগ এনে ১১ ফেব্রুয়ারি এসআই আশিকুর রহমান বাদী হয়ে অপর ২৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ পাঁচ জনকে আটক করে।