- সারাদেশ
- ঘুষ দিতে চাওয়া সেই ভিক্ষুককে ছয় মাসের আটকাদেশ
ঘুষ দিতে চাওয়া সেই ভিক্ষুককে ছয় মাসের আটকাদেশ

রাজধানীর গুলশানে ভিক্ষুকবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আটকের পর কর্মকর্তাদের ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে চাওয়া ভিক্ষুককে ছয় মাসের আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। ভিক্ষুক তারা মিয়ার বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী এলাকায়। তাঁর ডান হাতের কবজি নেই।
বুধবার অভিযানের সময় তাঁকে এ শাস্তি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সমাজসেবা অধিদপ্তরের মিরপুরের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আল আমিন এ তথ্য জানান। গুলশান-২ এর গোলচত্বর এলাকায় ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও গাড়ির যাত্রীদের কাছে টাকা চাইছিলেন তিনি।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরা তাঁকে আটক করে পুনর্বাসনকেন্দ্রে পাঠাতে গাড়িতে তোলেন। কিন্তু পুনর্বাসনকেন্দ্রে যেতে কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না তিনি। ভিক্ষুক নয় বলেও কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করেন। একপর্যায়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের তিনি ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে চান।
আল আমিন জানান, তাঁকে ছয় মাস পুনর্বাসনকেন্দ্রে রাখা হবে। সাধারণত দীর্ঘ মেয়াদে আটকাদেশ পাওয়া পুরুষ ভিক্ষুকদের ময়মনসিংহ বা নারায়ণগঞ্জের সরকারি পুনর্বাসনকেন্দ্রে পাঠানো হয়। এদিন বুধবার আটক এক নারীকে পরিবারের লোকজন এসে নিয়ে গেছে। তাঁকেও আটকের পর আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। স্বজনদের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তিনি বাড়ি ছেড়েছিলেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মিরপুরের আশ্রয়কেন্দ্রে এখন ৭৩ জনকে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও ১৭ জনকে সেখানে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২ হাজার ৬০০ ভিক্ষুককে আটক করা হয়। আশ্রয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায়, তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৮০৫ জনকে আর ভিক্ষাবৃত্তি না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৭৯৫ জনকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ হাজার ৬৭০ জনকে আটক করেছে। তাঁদের মধ্যে ৬৭০ জনকে বিভিন্ন সরকারি পুনর্বাসনকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ভিক্ষা না করার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বাকিদের।
মন্তব্য করুন