- সারাদেশ
- মুক্তিপণের জন্য কর্মকর্তার ছেলেকে অপহরণ, ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার
মুক্তিপণের জন্য কর্মকর্তার ছেলেকে অপহরণ, ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার

উদ্ধার হওয়া শিশু - সমকাল
গাজীপুর মহানগরের পানিশাইল এলাকার একটি ব্যাটারি তৈরির কারখানার সুপারভাইজার রাজু আহমেদ। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাসিন্দা হলেও পরিবার নিয়ে থাকেন ওই এলাকার বাসায়। গত বুধবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বাসার পাশেই খেলছিল তাঁর ছয় বছর বয়সী ছেলে খালিদ সাইফুল্লাহ। বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ নিখোঁজ হয় সে।
সংবাদ পেয়ে নানা এলাকায় খোঁজ করেন স্বজনরা। এরই মধ্যে অপরিচিত নম্বর থেকে রাজু আহমেদের মোবাইল ফোনে কল আসে। মুক্তিপণ হিসেবে তাঁর কাছে দাবি করা হয় দুই লাখ টাকা। না দিলে শিশুটিকে হত্যার পর মরদেহ গুমেরও হুমকি দেওয়া হয়। দিশেহারা পরিবারটি শরণাপন্ন হয় কাশিমপুর থানা পুলিশের।
অপহরণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে খালিদকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। সারদাগঞ্জ কাজী মার্কেট এলাকায় পাওয়া যায় তাকে। এ সময় আটক করা হয় অপহরণকারী জাহিদুল ইসলামকে।
পুলিশ জানায়, রংপুরের পীরগাছা থানার চরতাম্বুলপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল। সে রাজু আহমেদের অধীনে পানিশাইল এলাকার একই কারখানার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, দীর্ঘদিন অপহরণের পরিকল্পনা আঁটছিল জাহিদ। বুধবার বিকেলে পানিশাইলের বাসার কাছে মোমেনা বেগম স্কুলের রাস্তা থেকে শিশুটিকে তুলে নেয় সে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এর বর্ণনাও দিয়েছে।
ওসি আরও বলেন, অপহরণের অভিযোগ পেয়েই পুলিশের কয়েকটি দল মাঠে নামে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভোররাতে সারদাগঞ্জ কাজী মার্কেট এলাকায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। আদরের ধনকে বুকে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন খালিদের বাবা রাজু আহমেদ। দ্রুত ছেলেকে উদ্ধার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় কাশিমপুর থানায় রাজু আহমেদ মামলা করেন। এতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জাহিদুলকে বৃহস্পতিবার গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন