বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বেগম রোকেয়া হলের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। অবৈধভাবে হলের সিট বাতিলের অভিযোগ তুলে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হলের সামনের প্রধান সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্টের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী মাস্টার্স থিসিসের হার্ডবাইন্ডিংস জমা দেওয়া পর্যন্ত আমাদের ছাত্রত্ব বহাল থাকে। কিন্তু থিসিস জমা দেওয়ার আগেই আমাদের হলের সিট ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দিয়েছেন হল প্রভোস্ট। আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত সিটে অন্য শিক্ষার্থীদের ওঠার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেন এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্টের অপসারণ দাবি করে শিক্ষার্থীবান্ধব হল প্রভোস্ট নিয়োগের দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অফিসের সহকারী খুকি মেয়েদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও হলের সিট বরাদ্দ নিয়ে ঝামেলা করে থাকেন। তাই শিক্ষার্থীরা তারও পদত্যাগের দাবি জানান। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ে আবাসন সংকট নিরসনের দাবিও জানান।

এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম জানান, যেসব শিক্ষার্থী ডিফেন্স দিয়েছে তাদেরকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। যারা এখনও ডিফেন্স দেয়নি তাদের ক্ষেত্রে ডিফেন্স দেওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অভিযোগের ব্যাপারে অফিস সহকারী খুকির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার দাঁতে ব্যথা। আমি এখন কোনো কথা বলতে পারব না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তীব্র সিট সংকট থাকা সত্ত্বেও নতুন করে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১০২ জন শিক্ষার্থীকে বেগম রোকেয়া হলে অ্যাটাচমেন্ট দেওয়া হয়েছে। নবীন শিক্ষার্থীদের সিটের সংকুলান করতে আগের গণরুমগুলো ফাঁকা করা হচ্ছে। সেজন্য ছাত্রত্ব থাকা সত্ত্বেও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন হল প্রভোস্ট। মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের সিটে গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ দিয়েছেন বলেও জানা যায়।