বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত যেতে ইচ্ছুকরা দেশটির ভিসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলছেন, যাতায়াতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা এবং ভারতের ফুলবাড়ী বন্দরটি ব্যবহারের আবেদন করা হলেও ভিসায় অনুমতি থাকছে লালমনিরহাটের বুড়িমারী অথবা যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশনের। এতে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ ভোগান্তির সঙ্গে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে বন্দরটি দিয়ে ভারতীয়রা অবাধে বাংলাদেশি ভিসায় যাতায়াত করতে পারছেন।

বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও স্থানীয় সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গত বছর ৭ এপ্রিল বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন দিয়ে ভ্রমণসহ সব ধরনের ভিসায় দু'দেশের নাগরিকদের যাতায়াত চালু হয়। এরপর ভ্রমণ, ব্যবসা, চিকিৎসাসহ নানা কাজে ভারতগামীরা রুটটি ব্যবহার চেয়ে রংপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের ভারতীয় ভিসা সেন্টারে আবেদন করেন। কিন্তু ভিসায় বাংলাবান্ধা না থাকায় অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় করে বুড়িমারী দিয়ে ভারতে যাচ্ছেন তাঁরা। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ওপারেই ভারতের শিলিগুড়ি। অথচ সেখানে যেতে এখন অতিরিক্ত প্রায় ২০০ কিলোমিটার সড়ক ঘুরতে হচ্ছে। যেতে না পারলেও এফআরআরও (বিদেশি আঞ্চলিক রেজিস্ট্রেশন অফিস)-এর মাধ্যমে বাংলাবান্ধা দিয়ে ফিরতে পারছেন বাংলাদেশিরা।

পঞ্চগড় শহরের মসজিদপাড়া মহল্লার সৌমিক জামান সাদমান জানান, জরুরি চিকিৎসার জন্য মামাকে নিয়ে তাঁকে প্রতি মাসে একবার ভারত যেতে হয়। কিন্তু যতবার ভিসায় বাংলাবান্ধা রুট চাওয়া হয়েছে ততবারই বুড়িমারী দেওয়া হয়েছে। ফেরার সময় এতদিন ৫০০ রুপি দিয়ে এফআরআরও করে বাংলাবান্ধা ব্যবহার করা গেলেও, এখন তা জটিল হয়ে গেছে। আবেদন করলে সাত দিনেও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অথচ দালালকে দেড় হাজার টাকা দিলে এক দিনেই এফআরআরও পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নাসিমুল হাসান জানান, প্রায় এক বছর হলো, বাংলাবান্ধা দিয়ে যাতায়াতের অনুমতি পাচ্ছেন না তিনি। অনেক সড়ক ঘুরে অন্য চেকপোস্ট দিয়ে শিলিগুড়ি যেতে হচ্ছে। অথচ বাংলাবান্ধা সীমান্তের ওপারেই শিলিগুড়ি। চেকপোস্টের পর অটোতে মাত্র ১০ রুপি লাগে।

বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, যাঁদের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে, কেবল তাঁরাই যাতায়াত করতে পারছেন। ভারতে যাওয়ার ভিসা এবং রুট অনুমোদন দেশটির হাইকমিশন দেয়। এখানে তাঁদের কিছু করার নেই।