- সারাদেশ
- হঠাৎ ভাঙনে হুমকির মুখে ফসলি জমি
হঠাৎ ভাঙনে হুমকির মুখে ফসলি জমি

সুরমার ভাঙনে সেচ প্রকল্পের পাইপ উদ্ধারের চেষ্টায় স্থানীয়রা সমকাল
আকস্মিক ভাঙনের মুখে বিলীন হচ্ছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে বিএডিসি সেচ প্রকল্প। এতে মহা দুশ্চিন্তায় আছে সুরমা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের তিন শতাধিক কৃষক পরিবার।
সুরমা নদীতে বিএডিসি সেচ প্রকল্প দিয়ে স্থানীয় হাওরে প্রায় একশ একর বোরো ধান রোপণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সেচ প্রকল্পের পাশে বিশাল এলাকা সুরমা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতক চাষকৃত বোরো জমিও রয়েছে। ভাঙনের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন নদীর তীরে ছুটে আসেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সেচ প্রকল্পের মেইন লাইনের প্রায় ২০০ ফুট পাইপলাইন ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নতুন করে এখানে পাইপলাইনের সংযোগ না দিলে প্রায় ৪০০ বিঘা জমির ফসল সেচের অভাবে শুকিয়ে উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া এই ভাঙনের ফলে কানলার ও কনচ খাই হাওরে আগাম বন্যার পানি ঢুকে বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদীর ভাঙন রোধে অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে সম্প্রতি ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। ক'দিন বন্ধ থাকলেও আবারও শুরু হয় ড্রেজিং। এ পরিস্থিতিতে জেলা বিএডিসি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে এগিয়ে না এলে প্রায় চারশ বিঘা জমির বোরো ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভীর আশরাফ চৌধুরী বলেন, 'ভাঙন অব্যাহত থাকলে কৃষকের অনেক কষ্টের ফসল নষ্ট হবে। খবর পেয়েই স্থানীয় জনপ্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি। দ্রুত পদক্ষেপের জন্য আলোচনা চলছে।'
সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবদুর রহিম নেয়ামত জানান, কদমতলী কালিকাপুর গ্রামের অধিকাংশ কৃষক বিএডিসি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষাবাদ করেন। সেচের জন্য ফসল উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটলে স্থানীয়রা না খেয়ে মরবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মহসিন সাংবাদিকদের জানান, সেচ প্রকল্পের পাশে বিশাল এলাকা সুরমা নদীতে বিলীন হচ্ছে। সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন