সিলেটের সুরমা নদীর তীর থেকে বস্তাবন্দি অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহের নাকে ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ বরইকান্দি-টেকনিক্যাল রোডের একটি স’মিলের সামনে সুরমা নদীর তীর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এর আগে রোববার দুপুরে উত্তর সুরমার জালালাবাদ থানার কুচারপাড়া থেকে এক রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দুটিই কয়েকদিন আগের বলে জানিয়েছে পুলিশ।

দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান তালুকদার জানিয়েছেন, নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। তার দেহ প্রায় পঁচে গেছে। হাত-পা বাঁধা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ২-৩ দিন আগে তাকে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে গেছে। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

এর আগে রোববার দুপুরে জালালাবাদ থানার কুচারপাড়া গ্রামের রশিদ মোল্লার রিকশা গ্যারেজের পাশের একটি ঘর থেকে আব্দুর রহমান (৩৫) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি একজন নওমুসলিম ও পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। তার বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার দত্তগ্রামে। সম্প্রতি তিনি ও তার ভাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে আব্দুর রহমান ঘুমানোর পর আর তার দরজা খুলতে দেখা যায়নি। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় রোববার সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে এসএমপির জালালাবাদ থানা পুলিশকে জানান গ্যারেজ মালিক। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।