- সারাদেশ
- শহীদ মিনারে গণসংহতির অনুষ্ঠানে বাধার প্রতিবাদে সমাবেশ
শহীদ মিনারে গণসংহতির অনুষ্ঠানে বাধার প্রতিবাদে সমাবেশ

নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ (ছবি-সংগৃহীত)
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ব্যানারের স্লোগান ঢেকে রাখতে ‘পুলিশের বাধ্য করা’ এবং পরে গণসংহতি নেতা তরিকুল সুজনকে আটকের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ সমাবেশ করে।
গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণের সাবেক সভাপ্রধান শিল্পী অমল আকাশ, গণসংহতি আন্দোলন জেলা কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগরের আহ্বায়ক নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক পপি রাণী সরকার, ফতুলতা থানার আহ্বায়ক জাহিদ সুজন, জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের অনুষ্ঠানে ব্যানার খুলে নিতে বলে পুলিশ। ওই ব্যানারে উল্লেখ ছিল ‘একুশের উচ্চারণ, দূর হ দুঃশাসন’। দুঃশাসন শব্দ নিয়ে পুলিশের আপত্তি। এই দেশে যে দুঃশাসন চলছে তারই প্রমাণ সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামে পুলিশের বাধা দেওয়া। এই বাধাই প্রমাণ করে আমরা দুঃশাসনে আছি। এই দেশে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী, সাগর-রুনিসহ অনেক হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ রাখা হয়েছে। তাহলে এই দেশে সুশাসন চলছে কীভাবে আমরা বলবো? পুলিশকে নিজের লাঠিয়াল বাহিনীতে তৈরি করেছে সরকার। মানুষের জানমাল রক্ষার দায়িত্বে থাকার কথা যে পুলিশের সেই পুলিশকে এই জায়গায় কারা নিয়ে এসেছে তা সারাদেশের মানুষ জানে।”
গত মঙ্গলবার রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে থাকাকে কেন্দ্র করে গণসংহতি আন্দোলনের তরিকুল সুজনের সঙ্গে পুলিশের ‘অসদাচরণ’ ও দেড় ঘণ্টা থানায় রেখে মুচলেকায় ছাড়ারও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে সমাবেশ থেকে।
বক্তারা বলেন, ‘দুপুরে সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামে বাধা দিল পুলিশ। রাতে সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম শেষে তরিকুল সুজনকে আটক করে। কী কারণে তরিকুলকে আটক করা হয়েছিল সেই হিসাব আমরা বুঝি। পুলিশ জনগণের নিরাপত্তা না দিয়ে এখন সরকারি দলের পাহারাদারে রূপান্তরিত হয়েছে।’
মন্তব্য করুন