সরকার পতনের আন্দোলনের পাশাপাশি সারাদেশে সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রাখার জন্য বিএনপি হাইকমান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দল সমর্থিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই অনির্বাচিত সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে জাতির সব স্বপ্নকে ভেঙে দিচ্ছে। তাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়বে। জনগণের স্বপ্নভঙ্গকারী এই সরকারকে সরাতেই হবে। তৃণমূলে আন্দোলনকে আরও ছড়িয়ে দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এদের পতন ঘটাতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মতবিনিময়ে অংশ নেন রংপুর বিভাগের দল সমর্থিত সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানরা।

ধারাবাহিক বৈঠকের প্রথম দিন ২০০১ সাল থেকে সারাদেশে বিএনপির সমর্থনে নির্বাচিত ২৭০ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ধরনের আরও ৯টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনা, ২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেট ও খুলনা (আংশিক), ১ মার্চ বরিশাল, ২ মার্চ ঢাকা, ৫ মার্চ ফরিদপুর ও কুমিল্লা, ১৩ মার্চ চট্টগ্রাম, ১৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম (আংশিক) ও রাজশাহী এবং ১৫ মার্চ রাজশাহী (আংশিক) এবং ১৬ মার্চ ময়মনসিংহ বিভাগের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে।

বিকেল থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা চলা বৈঠকের শুরুতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলন এখন ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত গেছে। এতে জনগণ যাতে আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আপনাদের এখানে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৈঠকে উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যানরা বলেন, সারাদেশে দলকে সংগঠিত করতে কেন্দ্র থেকে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা অনেক উপকৃত হয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে যেসব কমিটি হয়নি, তা পুনর্গঠন হয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের পদায়ন করা হয়েছে। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। অনেক জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়নি। কাউন্সিল প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। থানা ও উপজেলা পর্যায়ের চিত্রও একই রকম। আবারও সাংগঠনিক তৎপরতা থমকে গেছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।