খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন বলেছেন, সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের পরিবর্তন হতে হবে। গ্র্যাজুয়েটদেরও সেভাবে তৈরি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, সবার পারস্পরিক সহযোগিতায় তা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, লেখাপড়ার মূল উদ্দেশ্য চাকরি হওয়া উচিত নয়। চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হতে হবে। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে হবে। বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রের বহুমুখী সম্ভাবনা কাজে লাগাতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি প্রয়োজন।

শুক্রবার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে খুবির এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

'এগ্রোটেকনোলজি সিলভার জুবিলি-২০২৩' শীর্ষক দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিকেন্দ্রিক। এ কারণে মহামারিসহ বৈশ্বিক নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও অর্থনীতি সঠিক অবস্থানে আছে। কৃষি গবেষণা এবং গবেষণালব্ধ ফলের কারণে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রেখেছে। এজন্য দেশের কৃষক সমাজ ও কৃষিবিদদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন থেকে এ বছর চালু হওয়া স্কলারশিপের জন্য মনোনীত চার শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করেন এবং তাদের অভিনন্দন জানান। এ সময় ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে স্মৃতিচারণ করেন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার অধিকারী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস। সভাপতিত্ব করেন ডিসিপ্লিন প্রধান অধ্যাপক শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মতিউল ইসলাম।