সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবারও অভিযোগ দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, থানা ও জেলা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। ঘটনার তিন দিনেও গ্রেপ্তার নেই।

নিহত পুলিশ সদস্যের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার শাহজাদপুরের জামিরতায় দাফন করা হয়েছে। হত্যার ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জেলার চৌহালী থানায় এর আগে ছিলেন ওই পুলিশ সদস্য।

চৌহালী থানার সাবেক ওসি রফিকুল ইসলাম (বর্তমানে সাঁথিয়ায় কর্মরত) বলেন, জমিসংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির বিষয়ে তিনি প্রায়ই বলতেন।

উল্লাপাড়ার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে থাকা দুই ছেলের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা ছিল বলে আমরাও শুনেছি।’

সিআইডি ইন্সপেক্টর ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনার পর ভিকটিমের ঘরবাড়ির আসবাব ও আলমারি তছনছ দেখে মনে হয়েছে– কেউ হয়তো জমি বা বাড়ির দলিল খুঁজেছে।’ পিবিআই পুলিশের এসপি রেজাউল করিম বলেন, ‘দু-একটি অনাকাঙ্ক্ষিত আলামত নিয়েও ছায়া তদন্ত চলছে।’

নিহতের স্ত্রী হেনা পারভীনকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

রোববার রাতে উল্লাপাড়ার নবগ্রামের নিজ বাড়িতে খুন হন পুলিশ কনস্টেবল মোয়াজ্জেম। দুই মাস পর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।