নেত্রকোনায় ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. জুবায়ের ইসলাম জুয়েলকে (২৮) দীর্ঘ ১১ বছর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ভোরে র‌্যাব- ১৪ ময়মনসিংহ নরসিংদীর মধাবদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মো. জুবায়ের ইসলাম জুয়েলনেত্রকোনা সদর উপজেলার বরুনা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।

বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের র‌্যাব- ১৪ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. জুবায়ের ইসলাম জুয়েল নেত্রকোনা সদর উপজেলার বরুনা গ্রামের বাসিন্দা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১০ সালের ২ জানুয়ারি মো. জুবায়ের ইসলাম জুয়েল তারই আপন চাচাত বোন ১৬ বছরের কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় ভিকটিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে জুবায়ের কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক জুবায়ের ইসলাম জুয়েলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। গ্রেপ্তার  জুবায়ের দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের পরিচয় গোপন করে গা ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে নরসিংদীর মধাবদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে র‌্যাব তাকে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার সাকের আহমেদ জানান, ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি জুবায়েরকে র‌্যাব থানা পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।