ময়মনসিংহে ধানক্ষেত থেকে এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে বাড়ির ৫০০ গজ দূরের ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

মৌসুমী আক্তার (২৬) ময়মনসিংহ জেলা সদরের দাপুনিয়া ইউনিয়নের গোষ্ঠা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আমান উল্লার মেয়ে। তার স্বামী জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার খেরুয়াজানি ইউনিয়নের সৈয়দগ্রাম গ্রামের এছহাক আলীর ছেলে সুজন হাসান বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার পর থেকে মৌসুমীকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

স্বজনরা জানায়, ২০১৭ সালে সুজনের সঙ্গে মৌসুমীর বিয়ে হয়। কিন্তু গত দুই বছর আগে সুজন ফের বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেন মৌসুমী। সেই মামলা এখনও চলমান। এরপর থেকে মৌসুমী তার বাবার বাড়ি থাকতেন।

এর মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়া হয়েছে এমন কাগজ দেখিয়ে মৌসুমীকে পুনরায় সংসারে নেওয়ার চেষ্টা করে সুজন। এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে জটিলতা চলছিল। এর জের ধরেই মৌসুমীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন চাচা শরিফুল ইসলাম।

এসব বিষয়ে মৌসুমীর স্বামী সুজনের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। 

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নিহতের গলায় আঘাতের চি‎‎হ্ন রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মামলা চলমান রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরেই হত্যার ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

তিনি আরও বলেন, ওই নারীর স্বামী সুজন দাবি করছে, সে তার কর্মস্থলে ছিল। কিন্তু আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি।