আট বছর আগে চট্টগ্রাম নগরের পাচঁলাইশ থানায় দায়ের করা একটি স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় ছয় জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা বেগমের আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকি চারজন পলাতক।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ছিপাতলী কাজিরবিল নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে মো. শাহজাহান প্রকাশ বাবলু (২৩), একই এলাকার লোনী তালুকদার বাড়ির প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. হাসান (৩২), ফটিকছড়ি থানার দৌলতপুর ভোলা কোম্পানী বাড়ির মো. আবু তৈয়বের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন (২৫), একই এলাকার আশরাফ চৌধুরী বাড়ির মাওলানা ইউছুফ আনসারীর ছেলে কায়সার বিন প্রকাশ টুন্টু (৩১), একই থানার পূর্ব ফরহাদাবাদ নুর আহাম্মদ ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির প্রয়াত আব্দুস সালামের ছেলে মো. বাহাদুর (২৮) এবং রাউজান থানার গনি পাড়ার ফজলুল হকের ছেলে শফিউল আজম (২৭)।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পিপি মো. আবদুর রশীদ বলেন, স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ছয় জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় মো. বাহাদুর ও মো. হাসান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য চার আসামি পলাতক রয়েছেন। মো. বাহাদুর ও মো. হাসানকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনায় মহানগর পিপিকে সহযোগিতা করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফারহানা রবিউল লিজা ও অ্যাডভোকেট তৌহিদা আক্তার খানম রাবেতা।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে ৬ জুলাই নগরের পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ এলাকা থেকে ১৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘটনায় পাচঁলাইশ থানার তৎকালীন এসআই মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। একই বছরের ২ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় আদালতে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।