- সারাদেশ
- অষ্টগ্রামে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০, পুলিশের গুলি
অষ্টগ্রামে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০, পুলিশের গুলি

ছবি: সমকাল
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নে আজ শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মুক্তার খাঁ এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. রশিদের পক্ষের লোকজনের মধ্যে পূর্বশত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতেরা হলেন- মুক্তার খাঁ’র পক্ষের গোলজার খাঁ (৩৫), সেলিম মিয়া (২৫), ইয়াছিন খাঁ (২৫), মুরশিদ খাঁ (৪০) ও শিবির খাঁ (৪০) এবং মো. রশিদ পক্ষের ফকির শেখ (৩৫), জিয়াউর (৪০) ও কালা মিয়া (৫০)। তাদেরকে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতেরা হবিগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করে রাখা রয়েছে।
জানা যায়, মিঠামইনে গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কর্মীসভা হয়। ওই কর্মীসভায় বিপক্ষের লোকজনের মধ্যে সমাবেশে আগমন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের এবং আবদুল্লাহপুর বাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে সংঘর্ষ বাঁধে। দুদিন ধরে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার আবদুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। শুক্রবার সকালেই আবার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন মুক্তার খাঁ ও মো. রশিদের লোকজন। দীর্ঘ দিন ধরে, বিশেষত গত ইউপি নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রশিদ মিয়া বলেন, ‘মুক্তার খাঁ গ্রুপের লোকজন সকাল বেলা আমাদের বাড়িতে দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমার কমপক্ষে ১৫ জন লোক আহত হয়েছেন। আহতদের অষ্টগ্রাম ও বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে মুক্তার খাঁ ও তার লোকজন এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে।’
মুক্তার খাঁ’র ভাই ও আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার খাঁ বলেন, ‘শুক্রবার সকালে রশিদ চেয়ারম্যান ও নূরুল ইসলাম সরকারের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে আমাকে আক্রমণের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। পরে লোকজন নিয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে সরে যেতে বলি। এরপর আরও দুইবার হামলা হয়। তখন আমার লোকজন তাদেরকে বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে আমাদের এক নারীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।’ রশিদ চেয়ারম্যান পক্ষের ঠিকাদার নুরুল ইসলাম সরকারের বাড়ির ছাদ থেকে গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ করেন আনোয়ার খাঁ।
অষ্টগ্রাম থানার আবদুল্লাহপুর তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. রাশেদ মিয়া সংঘর্ষের তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পুলিশকে ফাঁকা গুলি করতে হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন