ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় নাজমীন বেগম নামের এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘হত্যার’ অভিযোগে স্বামী আসাদ হাওলাদার শান্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার আমতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শান্তকে আটক করা হয়। 

এর আগে, ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নাজমীন উপজেলার কাঠিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে এবং শান্ত উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। 

রাজাপুর থানার এসআই সনজীব কুমার পাহলান জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ জানায়, ৮ মাস আগে শান্ত-নাজমীনের বিয়ে হয়। নাজমীন তার স্বামীর সঙ্গে আমতলা বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। শুক্রবার দুপুরে শান্ত স্ত্রী নাজমীনকে অচেতন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের মা পারভীন বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে এর আগেও জামাই শান্ত ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেছিলেন। এমন একটি ঘটনায় পুলিশ নিয়ে তার মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। এবার তার মেয়েকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। 

তবে গৃহবধূর স্বামীর দাবি, দুপুরে দোকানের কাজ শেষে বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীকে গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখেন তিনি। পরে একাই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার স্ত্রী নাজমীন আত্মহত্যা করেছে, তাকে হত্যা করা হয়নি।