পঞ্চগড়ে পুলিশ ও মুসল্লিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শনিবার সকাল থেকে যানবাহন চলাছল স্বাভাবিক থাকলেও শহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবির টহল দেখা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও স্ট্রাইকিং ফোর্সের টহল দেখা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশ, বিজিবিসহ আহত হন ৫০ জনের বেশি। শুক্রবার রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সালানা জলসা বন্ধ করে দেওয়ার পর শনিবার সকাল থেকে প্রশাসনের সহায়তায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জলসায় আসা আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। 

সংঘর্ষের ঘটনায় কতজন আটক, কোনো মামলা হয়েছে কিনা- এসব তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে বিকাল তিনটায় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত আরিফুর রহমানের মরদেহ ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল ছাড়াই দাফন করেছেন খতবে নবুওয়ত এল নেতাকর্মীসহ পরিবারের লোকজন। আরিফুর রহমান শহীদ হয়েছেন দাবি করে তারা রক্তমাখা পরনের কাপড়সহ মরদেহে কাফনের কাপড় পরান। জানাজায় কয়েক হাজার মুসুল্লির সমাগম ঘটে। ইমামতি করেন স্থানীয় একটি মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান। তবে জানাজার আগে কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে কেউ বক্তব্য দেননি।

অপরদিকে বিকালে আহমদ নগর এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে আহমদিয়া মুসলিম জামায়াতের বহিঃসম্পর্ক, গণসংযোগ ও প্রেস বিভাগের প্রধান আহমদ তবশির চৌধুরী দাবি করেন, হামলার ঘটনায় তাদের সম্প্রদায়ের একজন নিহত হয়। ১৮০টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে তাদের ৭০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন নিরাপদে যে যার মতো চলে গেছেন।