- সারাদেশ
- সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিস যা ধারণা করছে
সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিস যা ধারণা করছে

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসূল এলাকায় ‘সীমা অক্সিজেন লিমিটেড’ নামের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। রাত আটটার পর প্ল্যান্টে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার আবার অভিযান শুরু হবে।
প্ল্যান্টে এই বিস্ফোরণ অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস। শনিবার রাতে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দুর্ঘটনাস্থলে অনেক সিলিন্ডার দেখেছি। অনেক সময় সিলিন্ডারগুলো পরীক্ষা করা হয় না। বিস্ফোরণের অনেক কারণ থাকতে পারে। তদন্তে তা বোঝা যাবে। তবে সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি।’
ওই অক্সিজেন সিলিন্ডার প্ল্যান্টে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল কি না, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণের পর সেখানে যে অবস্থা হয়েছে, তাতে নিরাপত্তা পর্যাপ্ত ছিল কি না, তা বোঝার উপায় নেই।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, ‘আমরা বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বিস্ফোরণের খবর পাই। প্রথমে কুমিরা ফায়ার স্টেশনের দুটি গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের মোট তিনটি স্টেশনের নয়টি গাড়ি সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলা হয়।’
বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানান আবদুল মালেক। তিনি বলেন, রোববার সকাল থেকে আবারও উদ্ধারকাজ চালানো হবে। রাতে দুর্ঘটনাস্থলে টহল পুলিশ থাকবে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে পুরো অক্সিজেন প্ল্যান্টটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের পর আগুন লাগায় ধোঁয়া বহু দূর থেকে দেখা গেছে।
গত বছরের ৪ জুন এই অক্সিজেন প্লান্ট থেকে পৌনে এক কিলোমিটার দূরে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। ডিপোর কিছু কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ৫০ জন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হন।
মন্তব্য করুন