মির্জাপুরে এক ইটভাটায় প্রতিদিন ৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। জামুর্কী ইউনিয়নের কড়াইল গ্রামে গড়ে ওঠা শাপলা এন্টারপ্রাইজ নামে ইটভাটায় এক মাস ধরে এভাবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, অনুমোদনহীন ওই ভাটা প্রায় ২০ বছর আগে গড়ে ওঠে, যা মাঝেমধ্যে বন্ধ থাকে। প্রায় এক মাস আগে ওই ভাটায় পাকুল্যা গ্রামের আশিকুর রহমান খান ইউসুফজাই রাজীব চৌধুরী ইট পোড়ানো শুরু করেন। আইন অনুযায়ী, আবাসিক এলাকা আর কৃষিজমির এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যায় না। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অনুমোদনও লাগে। কিন্তু ওই ভাটার পাশে আবাসিক বাড়ি ও কৃষিজমি রয়েছে। নেওয়া হয়নি জেলা প্রশাসকের অনুমোদন। এরপরও ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ।

ভাটায় দায়িত্ব পালনকারী মেঘলাল সূত্রধর নামে এক ব্যক্তি জানান, ভাটা চালুর জন্য আদালতে রিট মামলা আছে। পাশের উপজেলা সখীপুরসহ পাহাড়ি এলাকা থেকে ভাটায় পোড়ানোর জন্য কাঠ আনা হয়। গড়ে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিনশ মণ কাঠ লাগে।

অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় আশিকুর রহমান খান ইউসুফজাই রাজীব চৌধুরীর সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, এ বছর তাঁরা চারজন অংশীদার মিলে ভাটায় ইট পোড়াচ্ছেন। ডিসির অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন। তিনি শুরুতে ভাটার জন্য ১৫ টন কয়লা কিনেছিলেন। কয়লার দাম কিছুটা বেশি। এক টন কাঠের দাম মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। আর কয়লা ২৩ হাজার টাকা। এ জন্য কিছু কাঠ পোড়াচ্ছেন।

টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।