সকাল ১০টা। ওড়ানো হয়নি জাতীয় পতাকা। তালাবদ্ধ শ্রেণিকক্ষ আর আঙিনায় খুদে শিক্ষার্থীদের প্রতীক্ষা।

নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের মাটিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ দৃশ্য চোখে পড়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় হাওরের ফসল রক্ষা

বাঁধ পরিদর্শনে যাওয়া ইউএনও সুপ্রভাত চাকমার। পরে তিনি সেখানেই শিক্ষার্থীদের নানা বিষয়ে পাঠদান করেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নির্ধারিত সময় ও নিয়মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ইউএনও। বিষয়টি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আলোচনার। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনিক ব্যক্তিরা সমাজের ছোট-বড় বিষয়গুলো নিয়ে এমন সরব থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বশীলদের এমন অবহেলার অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়।

জানা যায়, ঘটনার দিন বাঁধ পরিদর্শন শেষে ওই বিদ্যালয়ের পাশ দিয়েই ফিরছিলেন ইউএনও সুপ্রভাত চাকমা। অপেক্ষারত শিক্ষার্থীদের দেখে ভেতরে যান তিনি। এ সময় বিদ্যালয়ের সব কক্ষের দরজায় তালা ঝুলছিল। ওড়ানো হয়নি জাতীয় পতাকা। পরে সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। গ্রামবাসী জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিদিনই এভাবে দেরিতে প্রতিষ্ঠানে আসেন। পরে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দেন ইউএনও। ব্যক্তি পর্যায় থেকে তাঁর এমন উদ্যোগের কারণে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি অসুস্থ ছিলেন। ক্লাস্টার অফিসার আব্দুল আউয়ালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার। পাশাপাশি অপর ৩ সহকারী শিক্ষককেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছিল। তাঁদের অনুপস্থিতির কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়ের জানান, মাটিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যথাসময়ে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউএনওর কার্যালয়  থেকে চিঠি এসেছে। দ্রুতই বিষয়টির সমাধান করা হবে।

ইউএনও জানান, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বিদ্যালয়ের আঙিনায় অপেক্ষারত শিক্ষার্থী, জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়নি; এমন দৃশ্য প্রত্যাশিত নয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।