বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি স্লুইসগেট অকেজো থাকায় বিপদে আছেন কৃষকরা। গেটটি সংস্কার না করায় পানির অভাবে অন্তত ৩০টি বোরো ব্লকে সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কৃষক ও ব্লক ম্যানেজাররা পানির জন্য জোয়ারের অপেক্ষায় থাকেন। সঠিক সময়ে বোরো ক্ষেতে সেচ দিতে না পারায় তাঁরা উদ্বেগে আছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

ব্লক ম্যানেজার ও কৃষকরা জানান, গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট মহাসড়কের বড়মগড়া বাজারের স্লুইসগেটের কপাট দীর্ঘদিন অকেজো অবস্থায় রয়েছে। এতে পানি চলাচল বন্ধ আছে। ফলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের বড়মগড়া, জলিরপাড়, কোদালধোয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার ৩০টি বোরো ব্লকে সময়মতো সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে প্রায় দুই হাজার কৃষক দেড় হাজার একর জমির ফসল নিয়ে বিপদে আছেন।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, উত্তর বড়মগড়া গ্রামের স্লুইসগেট-সংলগ্ন বোরো ব্লকের ম্যানেজার অরবিন্দ অধিকারীর অধীন প্রায় ৪২ একর, গোবেন্দিমন্দিরে সুবোধ বাড়ৈর ৬৮ একর, দীনবন্ধু শিকারীর ৬৩, উত্তর বড়মগড়ার জন্মেঞ্জয় বাড়ৈর ৭৩, বড়মগড়ার ইউপি সদস্য অজিত শিকারীর ৪১, জলিরপাড় গ্রামের লিটন ফকিরের ৩৭, মনির খানের ৪২, কোদালধোয়ার আব্দুর রব ফকিরের ৪০, একই এলাকার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর খানের অধীনে প্রায় ৫৫ একরসহ অনেক জমি সেচ সংকটে পড়েছে।

স্লুইসগেট বন্ধ থাকায় খালে কখন জোয়ার আসবে, সে অপেক্ষায় বসে থাকেন ব্লকের ম্যানেজাররা। একাধিক ম্যানেজার জানিয়েছেন, প্রতি ২৪ ঘণ্টায় দু’বার জোয়ার এলেও এ পানি দিয়ে সব জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কৃষক উত্তম অধিকারী বলেন, একটি ব্লকে তাঁর চার একর জমি রয়েছে। তবে বোরো ক্ষেতে সঠিকভাবে সেচ দিতে পারছেন না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় বলেন, তিনি বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। সরেজমিন পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন।

এ বিষয়ে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুস ছালাম বলেন, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব যান্ত্রিক বিভাগের। অনেক দিন আগে একজন ব্লক ম্যানেজার তাঁকে ফোন দিয়ে স্লুইসগেট অকেজো হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এরপর আর কেউ বলেনি। সম্প্রতি আরেকজন বলার পর তাৎক্ষণিক বিষয়টি দেখার জন্য যান্ত্রিক বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সরেজমিন গেটটি দেখে মেরামতের উদ্যোগ নেবে।

বিষয় : স্লুইসগেট সেচ ব্যাহত

মন্তব্য করুন