পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। এতে নৌ-রুট বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপকূলীয় দশমিনা, গলাচিপা, বাউফল ও কলাপাড়া উপজেলার মানুষ বাণিজ্যিক ও যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে নদীপথ বেছে নেয়। দশমিনা উপজেলা থেকে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক ছোট-বড় লঞ্চ ঢাকা, বরিশাল, ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে।

উপজেলার পশ্চিমে চরবাঁশবাড়িয়া ও দক্ষিণে চরফাতেমার মধ্যে তেঁতুলিয়ার বুক চিরে জেগে উঠেছে চরআজমাইন, দশমিনার হাজির হাট লঞ্চঘাট ও চরবাঁশবাড়িয়ার অংশে জেগে উঠেছে চরআদিব। চরহাদীর উত্তর পূর্বপাশে লালচর, পশ্চিমে চরকাউয়া ও চরশাহজালালের পশ্চিমে বুড়া গৌরাঙ্গ নদে জেগে উঠেছে চরসামাদসহ অসংখ্য চর।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, চর জেগে ওঠার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীতে আটকে থাকে যাত্রীবাহী লঞ্চ। দীর্ঘ সময় আটকে থাকে পণ্যবাহী জাহাজ ও কার্গো। নাব্য হারিয়ে নদীতীরবর্তী জেলেপল্লির মানুষের জীবনে নেমে আসছে অনিশ্চয়তা। শুকনো মৌসুমে পানি কমে গেলে নদী দুটি আরও শীর্ণ হয়।

অ্যাডভেঞ্চার-১১ লঞ্চের সুপারভাইজার নয়ন হোসেন বলেন, তেঁতুলিয়া ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদের বুকে জেগে ওঠা চরের কারণে পাঁচ ঘণ্টার বেশি লঞ্চ চালিয়ে গন্তব্যে পাড়ি জমাতে হচ্ছে। এ ছাড়া ভাটার সময় ডুবোচরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লঞ্চ আটকে থাকে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নদী দুটিতে চর জেগে ওঠায় আগের নৌরুট প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া নদীর ৮০ শতাংশ এলাকাজুড়ে অসংখ্য ডুবোচর থাকায় বাঁশের লগি দিয়ে পানি মেপে লঞ্চের গতিপথ নির্ধারণ করতে হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. নুরুল হক হাওলাদার বলেন, নদী দুটি দ্রুত খনন না করলে উপকূলীয় এলাকার ১০ হাজার জেলে বেকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্মকর্তা (উপপরিচালক) মো. মামুন অর রশিদ বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নদী খননের আবেদন করলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এসএম শাহজাদা বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে তেঁতুলিয়া ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদের সংযোগ চ্যানেল রয়েছে। এ কারণে নদী দুটি দ্রুত খননের আওতায় আনবে সরকার।