প্রথমে কৌশলে সম্পর্ক গড়ে তুলত। এর পর বাসায় ডেকে এনে অশ্লীল ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের এমন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– ঢাকার ধামরাইয়ের মুরারচর গ্রামের আরিফুল ইসলাম আরিফ, গাইবান্ধা সদর থানার ডেভিট কোম্পানিপাড়ার মো. ফাহিম মিয়া, গোবিন্দগঞ্জের শাখাহার ইউনিয়নের আয়ভাঙ্গি গ্রামের মেহনাজ আকতার সাথী, ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বামনকুড়ি গ্রামের জুয়েল আকন্দ ও গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের তরফমনু গ্রামের রুবেল শেখ।

পুলিশ সুপার জানান, ১৫ দিন আগে সাঘাটা উপজেলার কচুয়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে গোবিন্দগঞ্জের গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের রুবেল শেখ ও ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বামনকুড়ি গ্রামের জুয়েল আকন্দের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩ মার্চ রুবেল ও জুয়েল পরিকল্পিতভাবে তাঁকে গোবিন্দগঞ্জে ডেকে আনে। একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যায় থানা মোড়ের নুরজাহান আবাসিক হোটেলে একটি রুমে ওই যুবককে আটকে রেখে নগ্ন ছবি ও অশ্লীল ভিডিও করে। সেই ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় যুবককে মারধর করে তাঁর সঙ্গে থাকা ১৮ হাজার টাকা ও ফোন কেড়ে নেয়। যুবকের পরিবার বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে যুবককে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

একইভাবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের আয়ভাঙ্গি গ্রামের মেহনাজ আকতার সাথীর সঙ্গে ১০ দিন আগে ইমোর মাধ্যমে পরিচয় হয় ফুলছড়ি উপজেলার দক্ষিণ কুঠির গ্রামের এক যুবকের। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৩ মার্চ সন্ধ্যায় ওই যুবককে গোবিন্দগঞ্জে ডেকে আনে সাথী। বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি শেষে ভাড়া করা একটি বাসায় সাথী তার স্বামী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও ফাহিম ওই যুবককে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় তাঁকে মারধর করে কাছে থাকা ১ হাজার ৫০০ টাকা ও  ফোন কেড়ে নেয়। আটক যুবক বিষয়টি তাঁর পরিবারের কাছে জানালে তাঁরা পুলিশের স্মরণাপন্ন হন। পরে আসামিদের আটক ও যুবককে উদ্ধার করা হয়।