প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ বেড়েছে। গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন প্রায় ২৩৫ কোটি টাকা বা ৫৫ শতাংশ বেড়ে ৬৬২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। নতুন করে ১৬৭ শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যসীমা আরোপের প্রথম দিনে লেনদেন কমলেও দ্বিতীয় কার্যদিবসে লেনদেন বাড়ল। তবে ৩৪০ শেয়ারের লেনদেন হলেও দুই-তৃতীয়াংশই ছিল শীর্ষ ২০টিতে।

পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, যেসব শেয়ারে পুনরায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছে, দরবৃদ্ধির তালিকায় সেগুলোর সংখ্যাই বেশি। গতকাল ডিএসইতে দর বেড়েছে এমন ৫২ শতাংশ (৮৭টি) শেয়ার ছিল নতুন করে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা। এমনকি দরবৃদ্ধির শীর্ষ ২০টির মধ্যে ১১টিই ছিল এমন শেয়ার। এর আগে থেকে ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকা শেয়ারগুলোর ২৯ শতাংশের (৬৫টি) দর বেড়েছে। গতকাল লেনদেন শেষে ফ্লোর প্রাইসে ছিল ২২৩টি শেয়ার ও ফান্ড।

ডিএসইতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বেড়েছে বন্ধ কোম্পানি মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের। গত বৃহস্পতিবার নতুন করে ফ্লোর প্রাইস (২৭ টাকা ৯০ পয়সা) আরোপ হয়েছে এ শেয়ারে। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর ২২ ডিসেম্বর থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত টানা পতনে শেয়ারটির দর ৪০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৭০ পয়সায় নামে। গতকাল শেয়ারটি কেনাবেচা হয় ৩৩ টাকা দরে। দরবৃদ্ধির তৃতীয় অবস্থানে থাকা উসমানিয়া গ্লাসের দর বেড়ে ৫৫ টাকা ২০ পয়সায় এবং চতুর্থ অবস্থানে থাকা শ্যামপুর সুগারের ৭৬ টাকা ৩০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। এ দুই শেয়ারসহ দরবৃদ্ধির শীর্ষ-১০ এ  থাকা বাকি দুই শেয়ার লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ও সমতা লেদারের দর বেড়েছে পৌনে ১০ শতাংশ হারে।

আগে থেকে ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকা যেসব শেয়ারের দর গতকাল উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে। প্রায় ১০ শতাংশ দর বেড়ে কেনাবেচা হয়েছে ৬৫ টাকা ১০ পয়সায়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারিও শেয়ারটি ৪৪ টাকা দরে কেনাবেচা হয়। গত পাঁচ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ২১ টাকার বেশি। বিজিআইসির পর দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে থাকা এমন শেয়ারের অন্যগুলো হলো– ইস্টার্ন হাউজিং, বসুন্ধরা পেপার, জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট এবং নাভানা ফার্মা।